আরও দেখুন
শুক্রবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত জার্মানির প্রতিবেদনের ওপর ট্রেডারদের মনোযোগ থাকবে, যেখানে খুচরা বিক্রয়, বেকারত্ব, এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যেহেতু দেশটির চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন আশানুরূপ ছিল না (সেইসাথে ২০২৪ সালের সামগ্রিক জিডিপি প্রতিবেদনও হতাশাজনক ছিল), তাই আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল আশা করা কঠিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যক্তিগত ভোগব্যয় (PCE) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন সাধারণত পূর্বাভাসের সাথে খুব বেশি পার্থক্য প্রদর্শন করে না। ফলে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আমরা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রত্যাশা করছি না।
শুক্রবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যানের বক্তৃতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, জেরোম পাওয়েল এবং ক্রিস্টিন লাগার্ড উভয়েই ইতোমধ্যে এই সপ্তাহে বক্তব্য দিয়েছেন, এবং তাদের বক্তব্যের প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পাওয়েল পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে ফেড খুব ধীরে সুদের হার কমাবে এবং ফেডের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো প্রভাব নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ড নিশ্চিত করেছেন যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২%-এর দিকে নিয়ে যেতে থাকবে। এই তথ্যই ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার জন্য যথেষ্ট, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কমছে, এবং মুভমেন্ট "ফেন্স" এবং "জিগজ্যাগ" আকৃতির মতো দেখাচ্ছে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংইয়ে মার্কেটে অত্যন্ত অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেড এবং ইসিবির বৈঠকের ফলাফল কার্যত উপেক্ষা করেছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে মূল্য স্থানীয় ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে রয়ে গেছে। একদিকে, ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলতে পারে। অন্যদিকে, মার্কেটে কি ইউরো এবং পাউন্ড কেনার জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি রয়েছে?
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।