empty
 
 
31.01.2025 09:44 AM
৩১ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে। ইউরোর তুলনায় ব্রিটিশ কারেন্সির উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এমন সংবাদের পরিমাণ অনেক কম ছিল, তবে উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রায় অভিন্ন ছিল। বর্তমানে ব্রিটিশ পাউন্ড দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিন দিনের ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের পর, এটি কেবল ইউরোর মূল্যের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করছে বলে মনে হচ্ছে।

এই পেয়ারের টেকনিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গিও বেশ অনিশ্চিত। তিন সপ্তাহ ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও তিন সপ্তাহ চলতে পারে; তবে, বর্তমানে ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর আরও দর বৃদ্ধির তেমন কোনো কারণ নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, এবং শুধুমাত্র ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কারণে মার্কিন ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখা অবাস্তব।

সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল বৃদ্ধির নয় বরং ব্রিটিশ পাউন্ডের আরও দরপতনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তবুও, দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশন হওয়া প্রয়োজন ছিল। এখন মূল প্রশ্ন হচ্ছে: এই কারেকশন কতদিন স্থায়ী হবে?

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার টানা তৃতীয় দিনের মতো এই পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, তাই আমরা সমস্ত ট্রেডিং সিগন্যাল চিহ্নিত করিনি। পুরো দিনজুড়ে মূল্য অত্যন্ত অস্থিতিশীল ছিল, কোনো নির্দিষ্ট লেভেল বা ট্রেডিংয়ের যৌক্তিকতা অনুসরণ করেনি। সবচেয়ে অস্বাভাবিক মুহূর্তটি রাতের বেলা ঘটেছিল, যখন মাত্র পাঁচ মিনিটে পাউন্ডের ৪৫ পিপসের দরপতন ঘটে। সামগ্রিকভাবে, বর্তমান মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে খুব কম যৌক্তিকতা রয়েছে।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প-মেয়াদী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, যা মূলত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা 1.1800 লেভেলের দিকে পুনরায় পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক পরিস্থিতি। এখন মূল বিষয় হচ্ছে, নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় কবে শুরু হবে তা নির্ধারণ করা। এর জন্য ট্রেন্ডলাইন পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদের এই কারেকশনের সমাপ্তির ইঙ্গিত দেবে।

শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে, কারণ 1.2502–1.2508 অঞ্চলের ব্রেকআউট এখনও ঘটেনি। তবে, মূল্যের মুভমেন্ট অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং অনিয়ন্ত্রিত রয়ে গেছে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলসমূহ হচ্ছে:1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।

শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোর পিসিই মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে। সূচকটির ফলাফল স্থানীয় পর্যায়ে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.