আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থির মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। মনে হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা কিছু প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে, তবে এগুলোর তাৎপর্য বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত সে ব্যাপারে তারা অনিশ্চিত ছিল। গতকাল তিনটি অঞ্চলের জিডিপি প্রতিবেদন, একটি বেকারত্ব প্রতিবেদন, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠক, এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক ইভেন্ট ছিল, যা মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করেছে।
ইউরোপীয় অঞ্চলের উভয় জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, অন্যদিকে মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল আশানুরূপ না হলেও 2.3% প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করেছে। ইসিবির বৈঠকের ফলাফলকে ডোভিশ বলা যেতে পারে, তবুও দিনের বেলা ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পায়, তবে শেষ পর্যন্ত পুনরায় এটির দরপতন ঘটে। এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে গেছে, এবং মূল্য 1.0451 লেভেল অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ফলস্বরূপ, আমরা আরও একটি নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। যদিও এটি সম্পূর্ণভাবে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করে না, কিন্তু স্বল্প-মেয়াদে মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার 1.0433-1.0451 এরিয়ায় দুটি সেল সিগন্যাল তৈরি হয়। এই সিগন্যালগুলো প্রায় একই রকম ছিল, এবং দ্বিতীয় সিগন্যালটি সন্ধ্যায় তৈরি হয়। ফলে, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত, তবে তাদের হয় তাৎক্ষণিকভাবে ক্লোজ করতে হতো বা শুক্রবার পর্যন্ত ধরে রাখতে হতো। বর্তমানে, এই ট্রেড লাভজনক অবস্থায় রয়েছে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, মাঝারি-মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, এবং স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখন বিপরীতমুখী হয়ে গেছে। আগেও উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা ইউরোর আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ বর্তমান মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে। ফলে, আমরা আশা করছি যে স্বল্প-মেয়াদে মার্কিন ডলারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাবে।
শুক্রবার, যদি মূল্য 1.0433-1.0451 রেঞ্জের নিচে থাকে, তাহলে আমরা আরও দরপতনের সম্ভাবনা দেখছি। আজ ইইউ থেকে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটি ইউরোকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করবে বলে আশা করছি না।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলসমূহ হচ্ছে: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। শুক্রবার, জার্মানিতে খুচরা বিক্রয়, মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে এটি ইইউ-এর সবচেয়ে বড় অর্থনীতিসম্পন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও মূল ব্যক্তিগত ভোগব্যয় (PCE) মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, তবে আমরা এটিকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচনা করছি না।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।