empty
 
 
28.01.2025 08:44 AM
২৮ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মিশ্র মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যা মৌলিক প্রেক্ষাপট এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন না থাকার থাকার ঘটেছে। ইউরোর মতো ব্রিটিশ পাউন্ডও তিন মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার পরে বর্তমানে একটি কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। এই কারেকশন নির্দিষ্ট কোনো খবর বা প্রতিবেদন ওপর নির্ভর করছে না। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ট্রেডাররা আগের শর্ট পজিশন থেকে লাভ তুলে নিচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের "দুর্দান্ত সব" উদ্যোগের কারণে ধীরে ধীরে ডলার বিক্রি করছে। এর ফলে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে, এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট স্পষ্ট হবে না; পেয়ারটি দীর্ঘ সময় ধরে কনসোলিডেশন ফেজে থাকতে পারে। পাশাপাশি, "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" প্রভাবে ট্রেডাররা ক্রমাগত ডলার বিক্রি করবে না। সামনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট—FOMC এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে—যেগুলোর ফলাফল সম্ভবত ডলারকে সমর্থন প্রদান করবে। তাই আমরা আশা করছি যে পেয়ারটির মূল্য শীঘ্রই ট্রেন্ডলাইনের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে দুর্ভাগ্যবশত, সেগুলো বেশ অস্পষ্ট ছিল। প্রথমে, মূল্য 1.2445 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে; তবে, মূল্য প্রথমে এই লেভেলের নিচে কনসোলিডেট করে। এর ফলে, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করে থাকতে পারে, যা লোকসান ঘটিয়ে থাকতে পারে। 1.2502-1.2508 এরিয়া থেকেও একটি রিবাউন্ড ঘটে, যা তুলনামূলকভাবে আরও নির্ভুল ছিল, তবে সেসময় মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি। পরে রাতে, মূল্য আবার এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং শেষ পর্যন্ত 1.2445 লেভেলে নেমে আসে। সামগ্রিকভাবে, এটি ট্রেডারদের জন্য ইতিবাচক দিন ছিল না।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্প-মেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছে, যা মূলত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। মধ্যমেয়াদে, আমরা আশা করছি পাউন্ডের মূল্য 1.1800 লেভেলে নেমে যাবে, কারণ এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখীর প্রবণতা প্রত্যাশা করতে পারি এবং এই কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণে ট্রেন্ডলাইন আমাদের সাহায্য করবে।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী রিট্রেসমেন্ট শুরু হতে পারে, কারণ দুইবারের প্রচেষ্টার পরেও মূল্য 1.2502-1.2508 এরিয়া ব্রেক করতে পারনি।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক হয়, তবে এটি ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের প্রভাবে সৃষ্ট সাম্প্রতিক দরপতনের পর ডলারকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.