empty
 
 
09.01.2025 08:02 AM
৯ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা মঙ্গলবার শুরু হয়েছিল। স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় এই দরপতন কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করে, তবে এটি বিস্তৃত বৈশ্বিক কারণগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সহজ কথায়, গতকাল ইউরোর দরপতনের জন্য কোনো শক্তিশালী স্থানীয় কারণ ছিল না; তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত বৃহত্তর বিষয়গুলো এই দরপতনের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়।

যদিও জার্মানির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল খুবই দুর্বল ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ADP কর্মসংস্থান প্রতিবেদনেও একইভাবে দুর্বল ফলাফল দেখা গেছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। এর ফলে, ইউরো আরও দরপতনের প্রান্তে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও আজ এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়, বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টেরই প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করতে হবে। ইউরোর আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে মূল্য 1.0269 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে সংগ্রাম করায় নিকট ভবিষ্যতে ফ্ল্যাট মুভমেন্টও দেখা যেতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.0334-1.0359 এরিয়ায় একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়, যা মঙ্গলবার থেকেই গঠিত হতে শুরু হয়েছিল। এই সিগন্যাল সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে, কারণ মূল্য শেষ পর্যন্ত 1.0277 এর নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। এই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ফলে একটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেয়। উভয় ট্রেডই লাভজনক ছিল, কারণ এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক অস্থিরতার মাত্রা যথেষ্ট উচ্চ ছিল এবং সিগন্যালগুলো নির্ভরযোগ্য ছিল।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য তিন মাসের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তুত মনে হচ্ছে। আমরা মনে করি যে মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন আবার শুরু হয়েছে এবং ডলারের সাথে ইউরোর মূল্যের প্যারিটি লেভেলের দিকে পৌঁছাতে খুব বেশি দূরত্ব বাকি নেই। পূর্বে যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন ডলারের পক্ষে থাকা মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলোর প্রভাবে ইউরোর আরও দরপতন প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

নতুন ট্রেডাররা বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে শান্ত মুভমেন্টের আশা করতে পারেন, কারণ খুব কমই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হবে। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্ট মূলত টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং জার্মানিতে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের আশা করা যাচ্ছে না। প্রকাশের জন্য নির্ধারিত প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.