empty
 
 
03.01.2025 09:55 AM
৩ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবারে তুলনামূলকভাবে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, কারণ ছুটির মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। তবে একটি প্রতিবেদন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেটি হচ্ছে মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স। আশা করা হচ্ছে যে ডিসেম্বরে এই সূচকে বড় কোনো পরিবর্তন হবে না এবং এটির ফলাফল 48.3 থেকে 48.5 এর মধ্যে থাকবে। তবুও, ট্রেডাররা এই পরিস্থিতি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। নিরপেক্ষ পূর্বাভাসের কারণে প্রকৃত ফলাফল অনুমানের তুলনায় ভিন্ন হতে পারে। এর ফলে, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। এছাড়াও, জার্মানিতে বেকারত্ব এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যদিও এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট সম্পর্কে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তবে, বৃহস্পতিবারের ট্রেডিং কার্যকলাপ এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন কোনো বক্তব্য বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রয়োজন বোধ করছে না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক শেষ হয়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং এই ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পেরেছে। আমরা মনে করি যে এই বৈঠকগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা প্রেরণ করেছে: মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হতে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যুক্তিসঙ্গতভাবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের প্রত্যাশা করা যেতে পারে, অন্তত মার্কিন ট্রেডিং সেশন শুরু হওয়া পর্যন্ত। এরপর, পরিস্থিতি অনেকাংশে নির্ভর করবে মার্কিন ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স প্রতিবেদনের উপর, যা মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি বা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.