আরও দেখুন
সোমবার, নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে এবং মূল্য গত সপ্তাহের নিম্ন লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। সোমবার যুক্তরাজ্য একটিমাত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যেটির ফলাফল ব্রিটিশ কারেন্সিকে সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা অপ্রত্যাশিত ছিল না। তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায়ও নিম্নমুখী ফলাফল পরিলক্ষিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই পাউন্ডের দরপতনের যৌক্তিকতা প্রদান করে। তবে, এটি মনে হচ্ছে যে স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছাড়াই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এটি এখনও অতিমূল্যায়িত এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে। যদিও এই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলে মনে হচ্ছে, বর্তমান প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ট্রেডাররা পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রাখতে সহায়তা করতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, মূল সিগন্যালটি শুক্রবার তৈরি হয়। সেদিন, মূল্য 1.2613 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, যা একটি উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু করে। শুক্রবার মার্কেট বন্ধ হওয়ার আগে ট্রেড ওপেন করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, তবে সিগন্যালটি স্পষ্ট ছিল এবং প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেছে। সোমবার, মূল্য 1.2547 লেভেলের নিচে নেমে যায় এবং 1.2502–1.2508 রেঞ্জের কাছে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যায়। এই রেঞ্জ থেকে মূল্যের রিবাউন্ড একটি বাই সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমাদের মতে এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তবে, এটি উল্লেখযোগ্য যে দরপতনের ক্ষেত্রে পাউন্ড স্টার্লিং মার্কিন ডলারের বিপরীতে উচ্চ প্রতিরোধ প্রদর্শন করে। সুতরাং, এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করা হলেও, ট্রেডারদের টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল অনুযায়ী এই পেয়ারের মূল্যের আরও বিয়ারিশ প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ মূল্য 1.2502–1.2508 এর রেজিস্ট্যান্স জোন ভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে, আরও দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হচ্ছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, এবং 1.2980–1.2993। মঙ্গলবার শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—মার্কিন ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। সেইসাথে, মনে রাখবেন যে বুধবার একটি ছুটির দিন।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।