আরও দেখুন
বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে প্রকাশিতব্য পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচক বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে হলে এই প্রতিবেদনের প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় যথেষ্ট ভিন্ন হতে হবে। এছাড়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে S&P পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতের ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে সম্ভবত শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনগুলোই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণবুধবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান জেরোম পাওয়েল, ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা রয়েছে। যদিও এটি পরিষ্কার নয় যে তারা কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বা তারা মুদ্রানীতি নিয়ে কথা বলবেন কিনা, তবুও এই ইভেন্টগুলো উপেক্ষা করা যাবে না। মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করা হচ্ছে, যার দিক প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে।
সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরোর মূল্য একটি হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে, এবং পাউন্ডের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা যেতে পারে। তবে আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, আজ বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যা উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেডারদের সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে—ব্যাপক অস্থিরতা এবং মূল্যের দ্রুত বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা থেকে শুরু করে শান্ত ট্রেডিং কার্যক্রম পর্যন্ত, বিশেষত যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল চমক না দেখা যায় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানরা মুদ্রানীতি সম্পর্কে নতুন কোনো ধারণা প্রদান না করেন।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।